All Courses
রিপোর্টিংয়ে নামার আগেই জানতে হবে, কোনটা খবর? তথ্য কোথায় পাব? যাচাই কীভাবে করব? খবরটা সহজ করে লিখব কীভাবে? এই অনলাইন কোর্সের পাঁচটি অধ্যায়ে ভিডিও এবং পাঠের মধ্য দিয়ে আপনি ধাপে ধাপে রিপোর্টিংয়ের এসব ভিত্তি নিয়ম আর কৌশলগুলো শিখতে পারবেন। এগুলো সহজ ভাষায় উদাহরণ দিয়ে বোঝানো হয়েছে। কোর্সটি শেষ করলে আপনি একটি সনদও পাবেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা - অনলাইন কোর্সে আপনাকে স্বাগত। কোর্সটি করে আপনি অনুসন্ধানী সাংবাদিক হয়ে যাবেন, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে কীভাবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে হয়, তা জানতে পারবেন। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কীভাবে ধাপে ধাপে অনুসন্ধান করতে হয়, প্রেক্ষাপটসহ উদাহরণের মধ্য দিয়ে কোর্সটিতে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ছয়টি অধ্যায়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পাবেন।
প্রতিটি অধ্যায়ে কিছু পাঠ ও কিছু ভিডিও লেকচার রয়েছে। বিষয়গুলো কতটুকু জানতে পারলেন, কুইজে অংশ নিয়ে তা বুঝতে পারবেন। তবে সনদ পেতে হলে আপনাকে প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে থাকা মূল্যায়ন কুইজে অংশ নিয়ে সেখানে ৭০ শতাংশ নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। মোট ছয়টি মূল্যায়ন কুইজের নম্বর যোগ করে নির্ধারিত হবে আপনার চূড়ান্ত ফল।
টেলিভিশন সাংবাদিকতায় বিশেষ করে রিপোর্টিংয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখতে চাইলে আপনার জন্য এই কোর্সটি । ফুটেজ ধরে গল্প বলা থেকে শুরু করে অন-ক্যামেরায় উপস্থাপনার কৌশলগুলো জানতে পারবেন আপনি। সাতটি অধ্যায়ে কিছু পাঠ ও কিছু ভিডিও লেকচারের মাধ্যমে খুব সহজে টেলিভিশন রিপোর্টিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের সাথে টেলিভিশন রিপোর্টিং শিখুন এবং নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন। চলুন শুরু করা যাক কোর্সটি।
সাংবাদিকতা কখনোই ঝুঁকিমুক্ত ছিল না। একজন সাংবাদিক কখনোই নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ভাবতে পারেন না। এ কারণেই সাংবাদিকতার সব ভালো দিকের সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকি বা নিরাপত্তার প্রসঙ্গ চলে আসে অবধারিতভাবে। ‘সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা’ শিরোনামের কোর্সটিতে ঝুঁকি কী, নিরাপত্তার সংকট কী, আপনি কীভাবে নিজেকে একটা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের জন্য প্রস্তুত করে নিতে পারেন—গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত কথা হবে। বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সম্পূর্ণ কোর্সে থাকছে মোট ৫টি মূল অধ্যায়। এ ছাড়া থাকছে ভূমিকা ও দুটি বিশেষ অধ্যায়।
এসব অধ্যায়ের প্রতিটিতে থাকবে ভিডিও লেকচার ও কিছু পাঠ। কী শিখলেন বা কতটুকু মনে রাখতে পারলেন, তার জন্য প্রতিটি অধ্যায়েই আছে কিছু কুইজ। শিখতে শিখতে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করে যখন একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাবেন, তখন পাবেন একটি সার্টিফিকেট। তবে কোর্স শুরু করার আগেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আপনি জানতে পারবেন অতিরিক্ত এই অধ্যায়ের মাধ্যমে। এই কোর্সে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার বিভিন্ন ধরনের এনজিও কাজ করছে। এর অধিকাংশই সরকারি বা বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত হয়। এ সকল প্রতিষ্ঠানও কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিবেচিত বিধায় তারাও জনগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। তথ্য অধিকার আইন অনুসারে আবেদনকারী কাঙ্খিত তথ্য চেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদনপত্র দাখিল করে। তথ্য অধিকার আইনের মূল চেতনা বাস্তবায়ন এবং আইনের আলোকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের লক্ষ্যে আইনটি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা দরকার। আইনটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ আয়োজন করা খুবই জরুরী। কিন্তু প্রচলিত ক্লাসরুম পদ্ধতিতে সারা দেশের বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল বিষয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের সকল বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আইনটিতে প্রশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার বিষয়ক একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়েছে।
অনলাইন প্রশিক্ষণটিতে আইনের বিভিন্ন ধারা নিয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তথ্য কমিশনের মাঝে সেতুবন্ধ তৈরির লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রাখা হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন সকল নাগরিককে তথ্যে প্রবেশের অধিকার দিয়েছে। যেহেতু জনগণ দেশের মালিক সেহেতু জনগণ দেশের সব সম্পদের মালিক, দেশের প্রতিটি টাকা ‘জনগণের টাকা’। দেশ চলে জনগণের টাকায়, তাই দেশের সকল তথ্য জনগণের তথ্য। এই তথ্য জানার বা পাবার অধিকার দেশের মালিক হিসেবে জনগণের ক্ষমতার অংশ। তাই সরকারি, স্বায়ত্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) এর প্রায় সকল তথ্যে জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন পাস হয়েছে। এই আইন এসব সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চত করবে, দুর্নিতি হ্রাস করবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। তথ্য অধিকার আইন জনগণের ক্ষমতায়নের একটি মোক্ষম অস্ত্র।
এই আইনের স্বার্থকতা নির্ভর করছে এর বেশি বেশি ব্যবহারের ওপর। জনগণ আইন টিকে যত বেশি ব্যবহার করবে এটি জনগণের জন্য তত বেশি মঙ্গল বয়ে আনবে। এই কোর্সের মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইনে কী আছে এবং কীভাবে এটি ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে জানতে পারবেন। তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে আপনাকে জানানো এবং নিজের ও সমাজের পবরবর্তনে আইনটি ব্যবহারে আপনাকে উৎসাহি করা এই কোর্সের উদ্দেশ্য।
শিক্ষার্থীদের জন্য ”তথ্য অধিকার আইন" অনলাইন কোর্সে আপনাকে স্বাগত। পাঁচটি অধ্যায়ের মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইন ও এর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে ভিডিও এবং মূল্যায়ন কুইজ সংযুক্ত আছে। সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীর জন্য রয়েছে সনদপত্র।
‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়া খবর হলো সেই ধরনের খবর যা সাজানো, বানোয়াট যা কোনো যাচাইযোগ্য তথ্য, উৎস এবং উদ্ধৃতিহীন। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় এই ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে। এই ভুয়া সংবাদ সাধারণত অল্প পরিচিত উত্স থেকে প্রকাশিত হয় যেমন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির অনলাইন সংবাদ-মাধ্যম। তবে আশ্চর্য্ হলেও সত্য যে এগুলোই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় আকারের দর্শক এবং পাঠক অর্জন করে। যদিও ইদানীং প্রথম সারির সংবাদ সংস্থাকেও ভুয়া খবর প্রচারে দেখা গিয়েছে। ভুয়া খবর শনাক্তেরও রয়েছে বেশ কিছু পদ্ধতি। এই কোর্সের মাধ্যমে জানবো কীভাবে আমরা ভুয়া খবর শনাক্ত করতে পারবো।